তারঃ ইনসুলেশনের আবরণ ছাড়া পরিবাহী কন্ডাক্টরকে তার বলে।
ক্যাবলঃ তারের উপর ইনসুলেশনের আবরণ দেওয়া থাকলে তাকে ক্যাবল বলে। তারের ইনসুলেশনের যত উন্নতমানের হবে, ক্যাবলও তত উন্নতমানের হবে। ওয়েন্ডিং জোড়ের ক্ষেত্রে উন্নত মানের ক্যাবল ব্যবহার করতে হবে। নিম্নমানের ক্যাবল ব্যবহারে বৈদ্যুতিক শক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
চিত্র : ১.১
বিভিন্ন কোম্পানি ভিন্ন ভিন্ন ডিজাইনের ইলেকট্রোড হোল্ডার বাজারে ছেড়েছে। কোনো হোল্ডারের ভিতরে ছিদ্র থাকে। উক্ত ছিদ্র দিয়ে ইলেকট্রোডের আবরণবিহীন অংশ ঢুকাতে হয় আবার কোনটির চোয়াল থাকে, তবে উক্ত চোয়ালে ঢুকাতে হয় ।
চিত্রঃ ১.২
ক্যাবলের যে অংশে হোন্ডার লাগানো হবে সে অংশের ইনসুলেশনের আবরণ সাবধানে অপসারণ করতে হয়। এক্ষেত্রে ইনসুলেশনের আবরণ সাবধানে করে হোল্ডারের নাট খুলে খুব মজবুত করে ক্যাবল সংযোগ দিতে হবে। মনে রাখতে হবে, বৈদ্যুতিক সংযোগ কখনও ঢিলা দেওয়া যায় না, এতে দুর্ঘটনা ঘটে। হোল্ডারের বাইরে উন্মুক্ত তার রাখা যাবে না।
চিত্রঃ ১.৩
হোল্ডারের সংযোগের ন্যায় এক্ষেত্রেও ক্যাবলের যে অংশ আর্থিং সংযোগ দেওয়া হবে সে অংশের ক্যাবলের ইনসুলেশন আবরণ অপসারণ করতে হবে। স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে আর্থিং এর ক্রু খুলে আর্থিং সংযোগ করতে হবে। আর্থিক সংযোগ ঢিলা থাকা চলবে না। এতে বিপদ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
চিত্র : ১.৪
টেস্টার দিয়ে কোন ফেজে বিদ্যুৎ আছে বা নেই চেক করেই ফেজ ও নিউট্রাল টার্মিনাল বের করা যায় ।
মেইন সুইচ অফ করে ট্রান্সফরমারে বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে হবে। ট্রান্সফরমারে যে দুইটি টার্মিনাল রয়েছে। একটিতে আর্থিং সংযোগ অন্যটিতে ওয়েল্ডিং ক্যাবল সংযোগ দিতে হবে। উত্তর ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে টিলা সংযোগ যেন না হয় কারণ এটা বিপজ্জনক। তবে ট্রান্সফরমার সংযোগের ক্ষেত্রে ইলেকট্রিশিয়ানের সাহা নেওয়া উচিত।
চিত্রঃ ১.৫
১। ক্যাবল এবং তারের মধ্যে পার্থক্য কী?
২। ইলেকট্রোড হোল্ডার কী?
৩। কীভাবে ইলেকট্রোড হোল্ডার নির্বাচন করতে হয় উলেখ কর।
৪। ক্যাবলের সাথে হোল্ডারের সংযোগের বিবেচ্য বিষয় উল্লেখ কর।
৫। আর্ক ক্ল্যাম্প কী?
৬। কীভাবে ক্যাবলের সাথে আর্থ ক্ল্যাম্প সংযোগ করতে হয় উল্লেখ কর ।
৭। ফেজ ও নিউট্রাল টার্মিনাল বলতে কী বোঝায়?
৮। কীভাবে ফেজ ও নিউট্রাল শনাক্ত করা হয় উলেখ কৰা।
৯। ফেজ নিউট্রাল টার্মিনাল, ইলেকট্রোড হোল্ডার ও আর্থ ক্যাবল সংযুক্তকরণ প্রক্রিয়া বর্ণনা কর।
১০। ট্রান্সফরমারের বিদ্যুৎ সংযোগ করার প্রক্রিয়া উল্লেখ কর।
৬ মিলিমিটার পুরু এবং ১৫০ মিলিমিটার লম্বা এবং ১০০ মিলিমিটার চওড়া এক খণ্ড এমএস প্লেট লও।
চিত্র : ২.১
প্লেট হতে গ্রিজ অথবা তৈল জাতীয় পদার্থ মরিচা, ময়লা ইত্যাদি উত্তমরূপে পরিষ্কার কর।
চিত্র : ২.২
কার্যর্যস্ত ক্যাম্প কর। মেশিনের (+) টার্মিনাল কার্যবস্তুর সাথে এবং (-) টার্মিনাল ইলেকট্রোড হোল্ডারের সাথে সংযোগ কর (ডিসি মেশিনের বেলায়)
চিত্রঃ ২.৪
এ.সি মেশিনের ক্ষেত্রে ইলেকট্রোড হোল্ডার এবং গ্রাউন্ড ক্যাবল যে কোন টার্মিনাল লাগান যায়।
চিত্রঃ ২.৫
সাধারণত পাতলা শিট ওয়েল্ডিং করতে রুটাইল ইলেকট্রোড যে সব ক্ষেত্রে অধিক শক্তির প্রয়োজন সেখানে বেসিক ইলেকট্রোড এবং অধিক পুরুত্বের স্টিল ওয়েন্ডিং এ আয়রন পাউডার ইলেকট্রিক ব্যবহৃত হয়।
চিত্রঃ ২.৬
শিট/প্লেটের
শিটের পুরুত্ব মিমি | ইলেকট্রোড ব্যাস মিমি | গেজ |
---|---|---|
১.৬ | ১.৬ | ১৬ |
২.০ | ২.০ | ১৪ |
২.৫ | ২.৫ | ১২ |
৩.০ | ৩.০ | ১০ |
৬.০ | ৪.০ | ৮ |
১০.০০ | ৫.০ | ৬ |
চিত্রঃ ২.৭
চিত্র : ২.৮
- আর্ক স্ট্রাইক করার জন্য ইলেকট্রোড ৭০" কোপে এবং প্লেট হতে ২০ মিমি উপরে রাখ ।
চিত্র : ২.৯
চিত্রঃ ২.১০
আর্ক লেংথ ইলেকট্রোডের কোর ব্যাসের সমান হবে।
– ইলেকট্রোড প্রতি মিনিটে ১০০ মিমি বেগে টান
– সঠিক আর্ক লেংথ
- ভালো বিড
- ভালো পেনিট্রেশন
- ভালো ওয়েন্ডিং এর নিশ্চয়তা দিবে
- ওয়েল্ডিং বিডের প্রস্থ, ইলেকট্রোড ব্যাসের ২ গুণ হবে।
ওয়েল্ড স্পিড অতি বেশি হলে গলন ব্যাহত হবে ও ধাতু অমিশ্রিতি অবস্থায় বেস মেটালে পড়ে থাকবে।
– ইলেকট্রোড এর সম্মুখ দিকে ৭০°-৮০° ঢাল এবং পার্শ্ব কোণ ৯০° রেখে ওয়েল্ডিং আরম্ভ কর।
চিত্রঃ ২.১৩
১। সারফেস প্রিপারেশনসহ ওয়ার্কপিস প্রস্তুকরণ প্রক্রিয়া উল্লেখ কর।
২। ওয়ার্কপিস সংযোগকরণ উল্লেখ কর।
৩। ইলেকট্রোড নির্বাচন বর্ণনা কর।
৪। হোল্ডারে ইলেকট্রোড আটকানোর নিয়ম উলেখ কর।
৫। ধাতুর পুরুত্বের সাথে কারেন্ট সেটকরণ ব্যক্ত কর।
৬। ইলেকট্রোডকে ওয়ার্ক পিসে স্ক্যাচিং পদ্ধতি বর্ণনা কর ।
৭। সঠিক আর্ক লেংথ ও সঠিক ওয়েন্ডিং স্পিডের প্রয়োজনীয়তা বর্ণনা কর ।
৮। ধাতু জোড়ের কালে সঠিক ইলেকট্রোড অ্যাংগেল এর গুরুত্ব উল্লেখ কর।
৬ মিলিমিটার পুরু এবং ৮০ মিলিমিটার গ্রন্থ ১৬০ মিলিমিটার লম্বা একখণ্ড মাইন্ড স্টিলের প্লেট নাও।
চিত্রঃ ৩.১
তারের ব্রাশ দিয়ে ওয়ার্কপিসের উপর হতে ধুলি, মাটি এবং তৈল বা গ্রিজ জাতীয় পদার্থ পরিষ্কার কর।
ডিসি ব্যবহার করলে ইলেকট্রোডকে নেগেটিভ প্রান্তে এবং জনকে পজেটিভ প্রান্তে যুক্ত কর। এটি স্ট্রেই পোলারিটি।
এসি ব্যবহার করলে জবকে যে কোন প্রান্তে যুক্ত করতে পার।
কারেন্ট নিরূপণের জন্য নিম্নের বিষয়গুলো বিবেচনা করতে হবে।
ইলেকট্রোড জবের সাথে ৭০° কোণে আর্ক সৃষ্টি কর এবং শর্ট আর্কে বিড টান।
১। আর্ক ওয়েল্ডিং কালে সমতন অবস্থানে সোজা ও ওভার লাপিং বিড তৈরিতে সারফেস প্রিপারেশনসহ ওয়ার্কপিস প্রস্তুত প্রণালি বর্ণনা কর।
২। সোজা ও ওভার ল্যাপিং বিদ্ধ তৈরির নিয়ম বর্ণনা কর ।
৩। ওভার ল্যাপিং বিড তৈরির সময় ও পরে ওয়েন্ডিং এর কী কী গুণাবলি পরীক্ষা করতে হয়। ব্যক্ত কর।
৪। পাওয়ার 'স' দিয়ে ভব কাটার পর ফাইলিং না করার কারণ উল্লেখ কর।
৫। ওভার ল্যাগিং বিয়ে ইলেকট্রোডের কোণ ও গতি উল্লেখ করা।
৬। আর্ক দেখে কত মিলিমিটার পর্যন্ত সীমাবদ্ধ রাখতে হয় এবং কেন?
৬ মিলিমিটার পুরু এবং ৪০ মিলিমিটার ১৫০ মিলিমিটার মাপের দুইটি মাইন্ড স্টিল প্লেট লও।
ইলেকট্রোড নির্বাচনের জন্য নিচের বিষয়গুলোর বিবেচনা করতে হয়।
বেশি পুরুত্বের পাতের জন্য মোটা ইলেকট্রোড এবং কম গুরুত্বের পাতের জন্য চিকন ইলেকট্রোড নিতে হয়। এক্ষেত্রে উক্ত পুরুত্বের জন্য ১০ গেজি ইলেকট্রোড ব্যবহার করতে হবে।
ধাতু জোড়ের সেট করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারেন্ট বেশি সেট করা হলে যেমন সমস্যা সৃষ্টি হবে, তেমনি কারেন্ট কম সেট করা হলে ধাতু জোড়ে বিঘ্ন সৃষ্টি হবে। তাই কারেন্ট সেট করার ক্ষেত্রে নিম্নের বিষয়গুলো বিবেচনায় আনতে হবে।
তবে এ কাজের জন্য ৯০ হতে ১০০ অ্যাম্পিয়ার কারেন্ট মেশিনে সেট কর। নিম্নের চার্ট হতে সঠিক কারেন্ট সেট করা যেতে পারে।
কাজের পুরুত্ব (মিলিমিটারে) | ইলেকট্রোড কোর এর ব্যাস (মিলিমিটারে) | কারেন্ট (অ্যামপিয়ার) | ভোল্টেজ (ভোল্ট) |
---|---|---|---|
০.৮ | ০.৮ | ২০ | ১৫ |
১.৬ | ১.৬ | ৩৩ | ১৫ |
৩.০ | ৩.০ | ৯০ | ১৭ |
৬.০ | ৪.০ | ১১০ | ১৮ |
১০.০ | ৫.০ | ১৩০ | ১৯ |
১৫.০ | ৫.৫ | ১৬০ | ২১ |
১৯.০ | ৬.০ | ১৬৫ | ২২ |
২৫.৪ | ৬.০ | ২৯৫ | ২২ |
ইলেকট্রোডের ব্যাস নির্বাচনের জন্য মূল ধাতুর পুরুত্বের সাথে ৩ মিলিমিটার যোগ করে যোগফলকে ২ দিয়ে ভাগ করলে মোটামুটি ইলেকট্রোড-এর ব্যাস পাওয়া যাবে, কিন্তু ওয়ার্কপিসের পুরুত্ব খুব বেশি বা কম হলে এ নিয়ম চলে না।
ওয়ার্কপিস দুইটিকে ১ মিলিমিটার থেকে ১.৫ মিলিমিটার ফাক করে পাশাপাশি রাখ । জবের সাথে ইলেকট্রোডকে ৭০° হতে ৮০° কোণে ধরে জবের দুই পার্শ্বে দুইটি এবং মাঝে একটি ট্যাক ওয়েল্ড কর।
ওয়াকাপল ঠান্ডা হলে জোড়াহাদের উপর হতে চিপিং হ্যামার এবং তারের ব্রাশের সাহায্যে ানের আবরণ পরিষ্কার করা।
ব্রেকিং এর সময় তারকি সর্বোচ্চন, এতে ইলেকট্রোড চালনার গণ্ডি, আর্ক লেখে, ইলেকট্রোডের অ্যাংগেল সঠিকভাবে বজায় রেখেছে কীনা তা দেখা যায়। ধাতু মোড়ের পর অবলোকন করা হলে দেখতে হবে।
১। স্কয়ার বাট জোড়ের কার্যবস্তু প্রস্তুত প্রণালি উল্লেখ কর।
২। স্কয়ার বাট জোড়ের কার্যবস্তু ট্যাককরণ ব্যক্ত কর ।
৩। স্কয়ার বাট জোড়ের কার্যবস্তু ট্যাক করণের সময় লক্ষণীয় বিষয় উল্লেখ কর।
৪। স্কয়ার বাট জোড়ের সময় ও জোড় শেষে পরীক্ষণীয় বিষয়সমূহ বর্ণনা কর।
৫। ওয়েল্ডিং-এর সময় ও পরে জোড়ের কী কী দেখতে হয় উল্লেখ কর।
৬। ওয়ার্কপিস ট্যাক করতে লক্ষণীয় বিষয়গুলো উল্লেখ কর।
৫ মিলিমিটার পুরুত্ব এবং ১০০ মিলিমিটার ৩০০ মিলিমিটার মাপের দুই খণ্ড মাইল্ড স্টিলের প্লেট লও।
৪.২ এর নিয়ম অনুসারে এই জবের জন্য ৮ গেঞ্জি ইলেকট্রোড ব্যবহার করতে হবে। তবে ধাতুর পুরুত্বের উপর নির্ভর করেই ইলেকট্রোড নির্বাচন করতে হয়।
(৪.৫ এর নিয়ম অনুসারে) এই জবের জন্য ১৩০ হতে ১৫০ অ্যাম্পায়ার কারেন্ট মেশিনে সেট করতে পার।
১। সমতল অবস্থানে সিঙ্গেল 'ভি' বাট জোড়ের নিমিত্তে কার্যবস্তু প্রস্তুত প্রণালি উল্লেখ কর।
২। পেনিট্রেশন ছাড়া সিঙ্গেল 'ভি' বার্ট জোড়ের নিমিত্তে কারেন্ট সেটকরণ উলেখ কর।
৩। সিঙ্গেল 'ভি' বাট জোড় ট্যাককরণ পদ্ধতি ব্যক্ত কর ।
৪। ওয়েল্ডিং-এর সময় ইলেকট্রোড চালনার কৌশল বর্ণনা কর।
৫। ওয়েল্ডিং-এর সময় ও পরে পরীক্ষণীয় বিষয়সমূহ উল্লেখ কর।
(৪.২) এর নিয়ম অনুসারে এই জবের জন্য ৮ গেঞ্জি ইলেকট্রোড ব্যবহার করতে হবে। তবে ধাতুর পুরুত্বের উপর নির্ভর করেই ইলেকট্রোড নির্বাচন করতে হয়।
(৪.৫ এর নিয়ম অনুসারে) এই জবের জন্য ১৩০ হতে ১৫০ অ্যাম্পায়ার কারেন্ট মেশিনে সেট করতে পারা।
১। সমতল অবস্থানে সিঙ্গেল 'ভি' বাট জোড়ের নিমিত্তে কার্যবস্তু প্রস্তুত প্রণালি উল্লেখ কর ।
২। পেনিট্রেশন ছাড়া সিঙ্গেল 'ভি' বাট জোড়ের নিমিত্তে কারেন্ট সেটকরণ উল্লেখ কর।
৩। সিঙ্গেল 'ভি' বাট জোড় ট্যাককরণ পদ্ধতি ব্যক্ত কর।
৪। ওয়েল্ডিং-এর সময় ইলেকট্রোড চালনার কৌশল বর্ণনা কর।
৫। ওয়েন্ডিং-এর সময় ও পরে পরীক্ষণীয় বিষয়সমূহ উল্লেখ কর।
সঠিক পরিমাপের ইলেকট্রোড মান ওয়েল্ডিং এর পূর্বশর্ত। ৪.২ এর চার্ট করে ইলেকট্রোড নির্বাচন করতে পার, তবে এক্ষেত্রে ধাতুর পুরুত্ব অনুসারে ৩.২ মিনি ব্যাসের ইলেকট্রোড বেছে নাও।
প্লেটের পার্শ্বদ্বয় পরিষ্কার ও স্কাইবার ও স্টিলরুলের দাগ দেওয়ার পর একটি প্লেট অপর প্লেটের উপর এমনভাবে স্থাপন করতে হবে যাতে প্লেটের ধার অপর প্লেটের উপর সমকোণী ভাবে অবস্থান করে। উপরের প্লেটের অপর পার্শ্বে অর্থাৎ যে পার্শ্ব নিচের প্লেটের বাইরে আছে সে পার্শ্বের নিচে একটি লোহার পাত দাও, যাতে উভয় পার্শ্ব সমতলভাবে অবস্থান করে।
ডান হাতে হোল্ডার ধরে হোল্ডারের লিভারে বৃদ্ধাঙ্গুলি দিয়ে চাপ দিয়ে ফাঁক কর। ইলেকট্রোডের যে অংশ কোটিং থাকে না সে অংশ বাম হাত দিয়ে হোল্ডারের ফাঁকে ঢুকাও। এবার হোল্ডারের ক্ল্যাম্প ছেড়ে দিয়ে শক্তভাবে হোন্ডারের সাথে ইলেকট্রোড আটকাও। মনে রাখতে হবে ইলেকট্রোড যেন কোন ভাবে লুজ না থাকে। ভালোভাবে যাচাই করে সঠিকভাবে ইলেকট্রোড লাগিয়ে কার্য উপযোগী কর।
প্লেটের পুরুত্ব অনুসারে কারেন্ট সেট করতে হবে। ৪.৫ এর চার্ট হতে পুরুত্ব অনুসারে কারেন্ট নিরূপণ কর। ৬ মিমি পুরু পেটের জন্য ১১০ হতে ১৩০ অ্যাম্পিয়ার সেট করে লক্ষ কর বেসমেটাল এবং ইলেকট্রোড গলছে কীনা। যদি না গলে তবে কারেন্টের পরিমাণ আরও বাড়াও।
যে প্লেটটির উপর দাগ টানা হয়েছে ঐ দাগ বরাবর অপর প্লেটটি রাখ।
সমতল প্লেটটির সাথে ইলেকট্রোড ৪৫° কোণে ধর এবং পেট দুইটির সংযোগ স্থল হতে ৯০° কোণে ধরে রান টানতে থাক।
ওয়েন্ডিং জোড়ের সময় লক্ষণীয় বিষয়গুলো হলো
ধাতু জোড়ের পর লক্ষণীয় বিষয়গুলো হলোঃ
১। সারফেস প্রিপারেশনসহ ওয়ার্কপিস প্রস্তুতিকালের করণীয়সমূহ বর্ণনা কর।
২। ইলেকট্রোড হোল্ডারে আটকানোর নিয়ম উল্লেখ কর।
৩। ল্যাপ জোড় সম্পন্ন করার ধাপসমূহ বর্ণনা কর।
৪। ধাতু জোড়ের সময় ও পরে লক্ষণীয় বিষয়সমূহ উল্লেখ কর।
৫। ওয়ার্কপিস ট্যাককরণের ধাপসমূহ উল্লেখ কর।
৬। কারেন্ট সেট করতে লক্ষণীয় বিষয়গুলো উলেখ কর ।
৬ মিলিমিটার পুরু এবং ৫০ মিলিমিটার ১৬০ মিলিমিটার মাপের দুই খণ্ড মাইন্ড স্টিলের প্লেট লও।
তারের ব্রাশ বা এমারি রথ দিয়ে প্লেট দুইটি পরিষ্কার কর।
-প্লেট বাঁকা থাকলে অ্যানভিলের উপর রেখে হাতুড়ির আঘাতে সোজা কর।
- একটি প্লেটের মাঝে ভাইবার এক স্টিল স্কেল ব্যবহার করে দাগ টান।
-যে পাতটির মাঝখানে পাদ টানা হয়েছে, উক্ত দাগের অপর পাতটি ৯০° কোণে খাড়া করে রাখ ।
- ইলেকট্রোড নিচের পাতটির সাথে ৩০° হতে ৪৫° কোণে ধরে ট্যাক ওয়েল্ড কর।
- ট্যাক ওয়েল্ড ৮ মিলিমিটার হতে ১০ মিলিমিটার লম্বা হতে পারে।
- এরূপ ট্যাক ওয়েন্ড ২ প্রাডে দুটি এবং মাঝে একটি কর।
- ইলেকট্রোভকে নিচের পেটের সাথে ৩০°-৪০° কোণে ধর এবং জোড়ের দিকে ৭০°-৮০° কোণে ধর।
- আর্কের দৈর্ঘ্য ও ৩ মিলিমিটার রক্ষা করে অত্যন্ত সাবধানে রান টান এবং শেষ প্রান্তে ক্ষণিকের জন্য
- ইলেকট্রোড ধরে রাখ এবং আর্ক বন্ধ কর।
- ইলেকট্রোড চালনার গতি সমান রাখ।
- ইলেকট্রোডের গতি অধিক দ্রুত বা মহর যেন না হয় খেয়াল রাখ।
- ওয়েল্ডিং শেষে চিপিং হ্যামার দিয়ে জোড় স্থান হতে প্লাগের আবরণ তুলে ফেল।
- ভারের ব্রাশ দিবে উত্তম রূপে জোড় স্থান পরিষ্কার কর।
ওয়েল্ডিং এর সময় দেখতে হবে।
১। সমতল অবস্থানে একক রানের টি-জোড় তৈরিতে সারফেস প্রিপারেশনসহ ওয়ার্কপিস প্রস্তুত প্রণালি বর্ণনা কর।
২। টি-জোড়ের নিমিত্তে ট্যাক ওয়েল্ড-এর প্রণালি উল্লেখ কর।
৩। টি-জোড়ের সময় ইলেকট্রোড অ্যাংগেল, আর্ক লেংথ, ইলেকট্রোড চালনার গতি বর্ণনা কর।
৪। টি-জোড়ের সময় ও পরে পরীক্ষণ প্রক্রিয়া উল্লেখ কর।
৫। ওয়ার্কপিস ট্যাক ওয়েল্ডিং নাম উল্লেখ কর ।
৬। একক রানের টি-জোড়ের ওয়েল্ডিং-এর নিয়ম কানুন উল্লেখ কর ।
- ৬ মি মি পুরু এবং কমপক্ষে ৫০ মিমি ২০০ মিমি দুই খণ্ড এমএস প্লেট লও ।
কার্যবস্তু প্রস্তুতি
৮.১ এর অনুরূপ
ওয়েল্ডিং এর সময় ভালোভাবে তদারকি করা হলে দোষ ত্রুটি পাওয়া যায় এবং প্রতিরোধ করা যায়। ওয়েল্ডিং এর সময় লক্ষণীয়ঃ
ওয়েন্ডিং সম্পন্ন হওয়ার পরঃ
১। একাধিক রানের টি-জোড়ের ওয়ার্কপিস প্রস্তুত প্রণালি উল্লেখ কর।
২। একাধিক রানের টি-জোড়ের ওয়ার্কপিস ট্যাককরণ ব্যক্ত কর।
৩। একাধিক রানের টি-জোড়ের প্রথম বিডের অবস্থান ব্যক্ত কর।
৪। একাধিক রানের টি-জোড়ে বাকি রানসমূহের অবস্থান উল্লেখ কর।
৫। ইলেকট্রোড, অ্যাংগেল, ইলেকট্রোড চালনার গতি ও আর্ক লেংথ বর্ণনা কর।
৬। ওয়েল্ডিং সময় ও পরে ওয়েন্ডিং পরীক্ষণ উল্লেখ কর।
কথায় বলে Prevention is better than Cure অর্থাৎ প্রতিরোধ সর্বোত্তম পন্থা। তাই জোড় করার সময় যদি ভালো তদারকি করা হয়, তবে ত্রুটি বিচ্যুতি অনেক বেশি ধরা পড়ে। যা নিরাময় করা সম্ভব হয়। জোড়ের সময় দেখতে হবেঃ
১। সমতল অবস্থানে আউট সাইড কর্নার জোড়ের নিমিত্তে সারফেস প্রিপারেশনসহ কার্যবস্তু প্রস্তুত প্রণালি বর্ণনা কর।
২। আউট সাইড কর্নার জোড়ের নিমিত্তে ট্যাক ওয়েল্ডকরণ পদ্ধতি উল্লেখ কর।
৩। আউট সাইড কর্নার জোড়ের নিমিত্তে কারেন্ট সেটকরণ শনাক্ত কর ।
৪। আউট সাইড কর্নার জোড়ের সময় ইলেকট্রোড অ্যাংগেল, ইলেকট্রোড চালনার গতি, বুননের নিয়ম,আর্ক লেংথ ইত্যাদি বর্ণনা কর ।
৫। আউট সাইড কর্নার জোড়ের সময় পরীক্ষণীয় বিষয়সমূহ উল্লেখ কর।
৬। আউট সাইড কর্নার জোড় শেষে লক্ষণীয় বিষয়সমূহ উল্লেখ কর।
ওয়ার্কপিস ট্যাক ওয়েল্ড করা :
ওরেল্ড সম্পন্ন করতে পারাঃ
কথায় বলে Prevention is better than Cure অর্থাৎ প্রতিরোধ সর্বোত্তম পন্থা। তাই জোড় করার সময় যদি ভালো তদারকি করা হয়, তবে ত্রুটি বিচ্যুতি অনেক বেশি ধরা পড়ে। যা নিরাময় করা সম্ভব হয়। জোড়ের সময় দেখতে হবে -
জোড় প্রস্তুতির পর জোড় মূল্যায়নের জন্য দেখতে হবে :
১। সমতল অবস্থানে আউট সাইড কর্নার জোড়ের নিমিত্তে সারফেস প্রিপারেশনসহ কার্যবস্তু প্রস্তুত প্রণালি বৰ্ণনা কর।
২। আউট সাইড কর্নার জোড়ের নিমিত্তে ট্যাক ওয়েল্ডকরণ পদ্ধতি উল্লেখ কর।
৩। আউট সাইড কর্নার জোড়ের নিমিত্তে কারেন্ট সেটকরণ শনাক্ত কর ।
৪। আউট সাইড কর্নার জোড়ের সময় ইলেকট্রোড অ্যাংগেল, ইলেকট্রোড চালনার পতি, বুননের নিয়ম, আর্ক লেংথ ইত্যাদি বর্ণনা কর।
৫। আউট সাইড কর্নার জোড়ের সময় পরীক্ষণীয় বিষয়সমূহ উল্লেখ কর।
৬। আউট সাইড কর্নার জোড় শেষে লক্ষণীয় বিষয়সমূহ উল্লেখ কর।
আরও দেখুন...